“যৌতুক প্রথামুক্ত বাংলাদেশ” – এই লক্ষ্য নিয়ে এখনই কাজ শুরু হোক। নারীরা ঐক্যবদ্ধ হলে এক একটি ইস্যুতে তারা নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারেন। নাগরিক শক্তি এক্ষেত্রে সবরকম সহায়তা করবে।
এদের মধ্যে লিলি নামের এক মেয়ের যৌতুকের অভাবে বিয়ে হচ্ছিল না। যৌতুকের কারণে দুই দফায় দু’টি ভালো সম্বন্ধ ছুটে যায়। এ কারণে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছিলেন লিলি’র বাবা-মা, এমনকি লিলিও। যৌতুক ছাড়া বিয়ে হওয়ায় খুশি হয়েছেন লিলি ও তার বাবা-মা।
যৌতুকবিহীন বিয়ে উপলক্ষ্যে সালতা গ্রামে ছিল অন্য রকম আমেজ। পাঞ্জাবি আর টুপি পড়ে বর আর লাল বেনারশি পড়ে কনেদের বিয়ের আসরে আনা হয়।
বিয়ের উপহার হিসেবে নতুন দম্পত্তিরা পেয়েছেন একটি করে ভ্যান ও সংসার সাজানোর যাবতীয় উপকরণ।
বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ইসলাহুল মুসলিমিন পরিষদ বাংলাদেশের সভাপতি আল্লামা ফরিদ উদ্দিন মাসুদ বলেন, ‘আমাদের দেশে যৌতুক একটি ভয়াবহ সামাজিক ব্যাধি হিসেবে দেখা দিয়েছে। শুধুমাত্র যৌতুকের কারণেই অনেক অস্বচ্ছল পরিবারের মেয়েদের বিয়ে হয় না।”